বুধবার তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী এ কথা জানিয়েছে। বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান টানাপোড়েনের মধ্যে এটা সংবেদনশীল জলপথটির মধ্য দিয়ে সর্বশেষ মার্কিন ট্রানজিট। এতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য চলমান উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
তাইপে ও বেইজিংয়ের মধ্যে টানাপোড়েন বাড়ছেই। আর এর মধ্যেই ওই প্রণালীতে মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ প্রেরণের বিষয়টি তাইওয়ানকে ট্রাম প্রশাসনের সমর্থনের অংশ হিসেবে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মার্কিন সামরিক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তাইওয়ান প্রণালীতে পাঠানো জাহাজের মধ্যে রয়েছে ডেস্ট্রয়ার প্রিবল নামের জাহাজ এবং নৌবাহিনীর ট্যাঙ্কার ওয়াল্টার এস ডায়েহল।
মার্কিন নৌবাহিনীর সেভনথ ফ্লিটের মুখপাত্র কমান্ডার ক্লে ডস এক বিবৃতিতে জানান,তাইওয়ান প্রণালীতে এই যুদ্ধজাহাজ প্রেরণের বিষয়টি একটি উন্মুক্ত ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গঠনে মার্কিন অঙ্গীকারের অংশ।
এ বিষয়ে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানান, তাইওয়ান প্রণালীর উত্তরে দুটি মার্কিন জাহাজ নোঙ্গর গেড়েছে। তাইওয়ানের সশস্ত্র বাহিনী এই নৌপথের মনিটরিং করছে। এটা একটি স্বাভাবিক ঘটনা; অস্বাভাবিক কোনো কিছুই ঘটছে না।
এদিকে, চীনের পক্ষ থেকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোনোধরনের প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরু থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ মাসে অন্তত একবার তাইওয়ান প্রণালীতে নোঙ্গর ফেলছে। পেন্টাগন জানিয়েছে, ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত তাইওয়ানের কাছে ১৫ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি অস্ত্র বিক্রি করেছে ওয়াশিংটন।
প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাইওয়ানের আনুষ্ঠানিক (ফর্মাল) কোনো সম্পর্ক নেই। তবু দ্বীপরাষ্ট্রটিকে রক্ষায় অস্ত্র সরবরাহে মূল ভুমিকা পালন করছে যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র : রয়টার্স